যে দুআয় আরশ কাঁপে

Original price was: 280.00৳ .Current price is: 182.00৳ .

মানুষের জীবনে বিপদ-আপদ, রোগ-বালাই, সমস্যা-সংকট দেখা দেয়। মানুষ বলতেই জীবনে কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সবকিছু যেহেতু আল্লাহর তরফ থেকেই হয়, সেহেতু সমস্যা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকেই আসে। আর যে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাকে সমস্যার সম্মুখীন করেন, তিঁনি বান্দার সেই সমস্যার সমাধানও বাতলিয়ে দিয়েছেন।

যেকোনো বিপদে-আপদে পড়লে বা সমস্যায় আক্রান্ত হলে প্রথমত ধৈর্য ধরতে হয়। দ্বিতীয়ত কায়মনোবাক্যে আল্লাহর স্মরণাপন্ন হতে হয়—এটা কুরআন ও সুন্নাহর দিকনির্দেশনা। আমরা অনেকেই এটা জানি। তবুও কেন জানি বস্তুজগতের প্রতি আমাদের নির্ভরতা এতটাই বেশি যে, বিপদে বা সমস্যায় পড়লে শুরুতেই আমাদের প্রথম মনোযোগটা দুনিয়াবি উপায়-উপকরণের দিকে হয়ে যায়!

আমি-আপনি যখন দুনিয়াবি কোনো উপায়ে সেটা দূরীভূত করার চেষ্টায় দৌড়ঝাঁপ করতে থাকি, তখন আমার-আপনার চারপাশে আল্লাহর এমনও কিছু বান্দা-বান্দি আছেন, যারা আমাদের মতো প্রথমেই দুনিয়াবি চেষ্টা-তদবিরের দিকে দৌড়ঝাঁপ না করে; বরং সব সমস্যার সমাধানকারী মহান আল্লাহর কাছে অশ্রু বিসর্জন করে ঠিকই সমস্যার সমাধান করে নিয়েছেন বা নিচ্ছেন!

আমি দুআর কথাই বলতে চাচ্ছি। হাদিসে বলা হয়েছে, “দুআ হলো মুমিনের অস্ত্র।” এই অস্ত্র দিয়ে চাইলেই মুমিন অনেক কিছুই করতে পারে; সমস্যা দূরীভূত করতে পারে, মনের আশা পূরণ করে নিতে পারে। তবে শর্ত হলো—এই অস্ত্র ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। অস্ত্র যেভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে শিকার করা যায় না, দুআর ক্ষেত্রেও শর্ত পূরণ না করলে কবুল হয় না। এ ব্যাপারে ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন :

“দুআ ও জিকির অস্ত্রের মতো। অস্ত্রের কার্যকারিতা শুধু ধারালো হওয়ার ওপর নয়; বরং ব্যবহারকারীর দক্ষতার ওপরও নির্ভর করে। তাই যখন অস্ত্র সম্পূর্ণ সঠিক হয়, কোনো ত্রুটি থাকে না, ব্যবহারের হাত শক্তিশালী হয় এবং কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে—তখন তা শত্রুর ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু এ তিনটির যেকোনো একটি না থাকলে প্রভাবও কমে যাবে।
সুতরাং যদি দুআটাই সঠিক না হয়, অথবা দুআরত ব্যক্তি তার অন্তর ও জিহ্বার সমন্বয় না করে দুআ করে, অথবা দুআ কবুল হওয়ার পথে কোনো বাধা থাকে, তাহলে এর কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।”

তাফসির, হাদিস, আত্মশুদ্ধি ও ইতিহাসের কিতাবে দুআ কবুলের অসংখ্য বাস্তব গল্প পাওয়া যায়। ওসব পড়ার পর আমাদের কেন জানি মনে উদ্রেক হয়—ওই যুগ আমাদের যুগের চেয়ে ভালো ছিল; ওই যুগের লোকেরাও আমাদের চেয়ে আল্লাহর অনেক বেশি প্রিয় ছিলেন, তাই সহজেই তাদের দুআ কবুল হয়ে যেত, কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের আমল ও একিনের অবস্থা খুবই খারাপ; বিধায় আমাদের দুআ কবুল হবে না! আমরা অনেকেই এই হীনমন্যতায় ভুগছি! অথচ, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও এমন নয়!

তাই এ বইয়ে শুধুমাত্র সমসাময়িক কালের এবং নিকট অতীতে দেশ-বিদেশের দুআ কবুলের কিছু বাস্তব গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যাতে এটাই বোঝা যায়—প্রযুক্তির এই যুগে যে পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণ করে আমি-আপনি বেঁচে আছি, সেই একই যুগে এবং একই পৃথিবীতেই যদি আরও কিছু লোক আল্লাহকে বলে-কয়ে তার সমস্যা সমাধান করে নিতে পারে, তাহলে আমি-আপনিও পারব না কেন?!

লোকমুখে একটা কথা প্রসিদ্ধ আছে, ‘ডাকার মতো ডাকলে খোদায় কেমনে শোনে না!’ জি, কথাটা বাস্তব। আল্লাহকে ডাকার মতো ডাকলে আল্লাহ শোনেন। অভিজ্ঞতা এটাই বলে। তাই আসুন, যেকোনো বিপদে প্রথমেই আমরা আল্লাহকে ডাকি। পাশাপাশি দুনিয়াবি উপায় ও উপকরণ অবলম্বনের চেষ্টা করি।

বইয়ে প্রায় চল্লিশটির মতো দুআ কবুলের বাস্তব গল্প রয়েছে। সবগুলোই এ যুগের বা কাছাকাছি সময়ের। গল্পগুলো পড়লে আপনি প্রভাবিত হবেন এবং নিজেও এভাবে আল্লাহর কাছে চেয়ে মনের মণিকোঠায় লুক্কায়িত বাসনা মঞ্জুর করানোর ইচ্ছা জাগবে ইনশাআল্লাহ।

বই: যে দুআয় আরশ কাঁপে
লেখক: আইনুল হক কাসিমী
প্রকাশনায়: রাইয়ান প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য: ২৮০ টাকা (পেপারব্যাক)
পৃষ্ঠা:১৯২

 
 
Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “যে দুআয় আরশ কাঁপে”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shipping & Delivery